Depression কাটানোর উপায়

যদি আপনি Deep Depression  চলে যান তাহলে একমাত্র ডাক্টারই আপনাকে ঠিক করতে পারআন তবে আপনি  কিছুদিন ধরে যদি হতাশায় ভুগছেন এরকম হয় তাহলে কিন্তু খুব সহজেই ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করে ,খুব সহজেই ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন.

1.  আপনার যা হবি সেই কাজে মন দিন  

আপনি যে কাজটি করতে খুব ভালবাসেন যাকে Hobby বালে। সেই কাজটিতে নিজেকে এমন ভাবে involve রুন যে আপনি অন্য কথা ভাবার সময় প্রায়  পাবেন না বা সময় প্রায় পাচ্ছেন না । নিজের hobby তে যদি ধিরে ধিরে মননিবেশ করতে পারেন তা হলে কিন্তু আপনি আস্তে আস্তে হাতাসা থেকে বেরিয়ে আস্তে পারবেন। 
2.  Positive লোকজনের সাথে মেলামেশা করুন 

যারা শুধু উৎসাহ দেয় এমন লচজনের সাথে মেলামেসা করুন । নেগেটিভ লোকজনের থেকে দূরে থাকুন যারা নেগেটিভ impulse  দেয় ,এই ধরনের লোকেদের সাথে কখনোই মেশা যাবে না।
3.শুধু নিজের কথা না ভেবে অন্যদের জন্য চিন্তা করুন 

আপনার আশেপাশের লোকদের সমস্যা নিয়ে ভাবুন ।একটা উদাহরন দিলে আপনি বুঝতে পারবেন যে সবাই সমস্যার সাথে নিরন্তন লড়াই করে যাচ্ছে। আপনি হয়ত আপনার সমাস্যা কে বড়ো করে দেখছেন । আপনার থেকে আনেক বড়ো সমস্যা  মাথায় নিয়ে অনেকে বেঁচে রয়েছেন।  ধরুন আপনার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ আপনি বেকার আপনি কিছু করতে পারছেন না আপনার আর্থিক অক্ষমতা আপনাকে প্রচন্ড পীড়া দেয় ।আপনি হতাশায় ভোগেন ,ভাবেন যে কি করে কি হবে ? এ অবস্থায় আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন সামনে একটা ড্রেন পড়েছে , আপনি লাফ দিয়ে ড্রেন টা টপকে চলে গেলেন এবং আপনি হয়তো জানেন না যে ওই ড্রেনের ডানদিকে একটা বাড়ি আছে ওই ডানদিকের বাড়িতে একজন মানুষ আছেন যিনি অগাধ পয়সার মালিক কিন্তু তার শরীরের কোন অংশই তিনি নাড়াতে পারেন না ।এবার ভাবুন আপনি ঐ ড্রেনের ডান পাশে যে বাড়িটা আছে সেই বাড়ির মালিক হতে চান, না আপনি বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন সে অবস্থায় থাকতে চান ?এটা যদি আপনি ভাবতে পারেন তাহলে আপনি কিন্তু  Depression থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ।বুঝবেন যে আপনি কত ভাগ্যবান । 
আপনি হয়তো বলতে পারেন এরকম লোক অনেক আছে যারা সুস্থ অথচ অর্থবান, হ্যাঁ, এরকম বহু লোক আছেন যাঁরা সুস্থ এবং অর্থবান কিন্তু তার মানে কি তার কোন সমস্যা নেই ?  হয়তো দেখা যাবে তার ছেলে এত বাজে হয়ে উঠেছে যে তিনি তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তিনি বুঝতে পারছেন ছেলে আস্তে আস্তে অত্যন্ত বাজে পথের দিকে যাচ্ছে যার পরিণতি মৃত্যু অথচ তিনি কিছু করতে পারছেন না অর্থাৎ ভেবে দেখুন তিনি কতটা মানসিক অশান্তিতে  ভুগছেন।  তিনি বুঝতে পারছেন যে তার ভবিষ্যৎ আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছে, তার হাতে পয়সা আছে তার সুস্থ শরীর আছে অথচ তিনি কিছু করতে পারছেন না , সুতরাং দাঁড়িপাল্লা টা কোথাও সমান আছে ,হতাশ হয়ে লাভ নেই যে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থেকে তাকে আরো উন্নত জীবনের দিকে যেতে হবে, সেই চেষ্টাই  করতে হবে। 

4.  বিকল্প রাস্তা  খুঁজুন
                    ধরুন আপনার ছেলে ঠিকমতো পড়াশোনা করছে না এই নিয়ে আপনি ভীষণ হতাশ আপনি হাজার চেষ্টা করেও ফল হচ্ছে না এই অবস্থায় আপনাকে দেখতে হবে যে তার মধ্যে অন্য কি কি প্রতিভা লুকিয়ে আছে। তাকে সেই পথে চালনা করুন। ভাবুন শচীন তেন্ডুলকর কে তার বাবা-মা খেলা না শিখিয়ে যদি পড়াশুনা করার ব্যাপারে জোর করতেন তাহলে কি হতো?        ধরুন আপনার ব্রেকআপ হয়ে গেছে এ অবস্থায় আপনি ভেঙে পড়েছেন বা আপনি যাকে পছন্দ করছেন সে আপনাকে চায় না ,এই অবস্থায় আপনি খুব হতাশ এই ধরনের ব্যাপারে আপনাকে বুঝতে হবে জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না । একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনি তাকে বোঝাতে পারেন ,অপেক্ষা করতে পারেন কিন্তু তারপর তাকে ভুলে গিয়ে নতুন সঙ্গীর অপেক্ষা করতে হবে । 

এই অবস্থায় আপনি আপনার ওই প্রিয় মানুষের দোষ গুলো নিয়ে ভাবতে থাকুন, তাহলে দেখতে পাবেন যে কিছুটা মোহ আপনার কেটে গেছে এবং আপনি হয়তো সত্যি সত্যি   নতুন সঙ্গী খুঁজে পাবেন। কিন্তু যদি আপনি খুব গভীর হতাশায় ভোগেন তাহলে কিন্তু একজন ডাক্তার ই আপনাকে এর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবেন অন্য কেউ পারবেনা না আপনি নিজেও পারবেননা।

বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে যদি একা থাকতে হতাশ লাগে তাহলে কোন বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকুন সেখানে হয়তো বাড়ির মত সাবলীলতা পাবেন না কিন্তু সঙ্গী পাবেন ,অসুখ-বিসুখ হলে লোক পাবেন ,অনেক মানুষের মধ্যে থাকার যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায় তা পাবেন, নিঃসঙ্গতায় ভুগতে হবে না ,তবে এর কিছু অসুবিধা আছে যা আপনাকে মেনে নিতে হবে এবং 

একথাও সত্য বর্তমানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যদি একা বাড়িতে থাকেন তাহলে কিন্তু তাদের প্রাণের সংশয় হতে পারে। কারণ বর্তমানে paper  খুললে আপনি দেখতে পাবেন একা  বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা বাড়িতে ছিলেন, সে অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার সম্পদ লুট করা হয়েছে।

5. আইনের সাহায্য  নিন
  বিবাহিত মহিলা/পুরুষদের ক্ষেত্রে, যদি সঙ্গী অবহেলা করেন বা অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হন সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে তাকে বোঝাতে পারেন, আপত্তি করতে পারেন, বাধা দিতে পারেন কিন্তু তাতেও যদি সে অনড় থাকে তাহলে কিন্তু আপনাকে আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। বুঝতে হবে তার আর আপনার জীবন আলাদা হয়ে গেছে।  ভেঙে পড়ে লাভ নেই সমস্যা তাতে আরো বেড়ে যাবে আপনাকে বাস্তবটা মেনে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আবারও বলি আপনি যদি deep depression চলে যান অবশ্যই ডাক্তারের সাথে consult করুন। 

অর্থাৎ আমরা দেখলাম   ডিপ্রেশন থেকে যদি বেরিয়ে আসতে হয় তাহলে বাস্তবিক চিন্তা, নিজের হবি তে মনোনিবেশ করা, আইনের সাহায্য নেওয়া,ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া ,বিকল্প ভাবনার পথ খোঁজা,positive  লোকজনের সাথে মেশা, অন্যের সমস্যা নিয়ে ভাবা  ইত্যাদি খুব জরুরী 

মনে রাখতে হবে জোর করে কিছু হয় না ,একটা সময় পর সব কিছুরই বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেই বিকল্প আরো better হতে পারে আরো ভালো হতে পারে আরো উৎকৃষ্ট হতে পারে, দরকার শুধু ইতিবাচক মানসিকতা।না কিছুতেই হবেনা ,এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, “হ্যাঁ হতেই পারে”, এই ভাবনাকে অগ্রআধিকার দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ।দাঁড়িয়ে থাকলে সবাই এগিয়ে যাবে আপনি শুধু পেছনে পড়ে যাবেন সুতরাং উঠে দাঁড়ান, নিজেকে বলুন হ্যাঁ আমি পারব আমাকে নতুন করে বাঁচতে হবে।

Important : মনে রাখবেন গভীর হতাসায় ভোগা ব্যক্তির ডাক্তার ছাড়া বিকল্প নেই। কারন Deep Depression এ চলে যাওয়া মানুষের  Brain এর গঠন  আনেক টাই পালটে যায়। নিচের চিত্র থেকে আপনি এটি  বুঝতে পারবেন

লেখাটি   উপযুক্ত  মনে  হলে  share করুন।*উপরের   লেখা টি  ব্যক্তিগত মতামত। …… আলোচনা  বা অভিমত, প্রামান্য সত্য নয়।                          

The blog is  written by Leo Max(Buku)[8768766466]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *