আমরা কি শেষের পথে?

মানুষ্য সমাজ কি শেষে পথে এগোচ্ছে? কিন্তু কি ভাবে , পৃথিবী কি ধংসের পথে? ভাবছেন কি করে?আমি যে কথা বলবো তাতে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এখন আমাদের কাছে যা জনআধিক্য তাই ভবিষ্যতে জনাহীন প্রান্তরে পরিণত হওয়ার পথে এগোচ্ছে। দেখুন আমাদের দাদুদের সময়ে অ্যাভারেজ ৮ থেকে ৯ টি করে সন্তান হতো। অর্থাৎ ২ জন থেকে ৯ জন তৈরি হয়েছে। জনসংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। আমাদের বাবাদের সময়ে তা গড়ে ২ থেকে ৩ টি সন্তান পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে অর্থাৎ দুজন থেকে গড়ে ৩ জন।খন এই প্রজন্মে সবারই ১ টি বা দুটি এবং বহু ক্ষেত্রে কোনো সন্তানই হচ্ছে না। এই প্রবণতা যে প্রচন্ড আকারে বাড়ছে তার প্রমান ফার্টিলিটি ক্লিনিক এর বাড়বাড়নতো, শুধু আমাদের দেশে নয় সারা পৃথিবীতে এই সমস্যা প্রকট হচ্ছে। ইতালি , জাপান এবং আরো অনেক দেশ এই সমস্যার মুখোমুখি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তাদের দেশ হয়তো ভবিষ্যতে জনাহীন হয়ে পড়বে , তাদের দেশের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, কারণ তাদের দেশের বেশিরভাগ ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করতেই চাইছে না অথবা সন্তান নিতে চাইছে না বা সন্তান হচ্ছে না।জাপানে যেহেতু গড় আয়ু অনেক বেশি সেই কারণে এখনো জনাধিক্য দেখা যাচ্ছে কিন্তু আর ১০/১২ বছর পর , জাপানে এমাসের বিশেষ করে ইয়ং জেনারেশন এর প্রচন্ড অভাব দেখা দেবে ফলে দেশটি ক্রমশ অচল জনহীন হয়ে উঠবে। নিচের চার্ট টি দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কি ভাবে জাপানের জন্মহার কমছে।

আর একটি দেশের কথা উল্লেখ করা যায় তা হলো ইতালি।গত ১৫ বছর ধরে ইতালির জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। হ্যাঁ, ইতালি প্রকৃতপক্ষে জনসংখ্যার সঙ্কটের মুখোমুখি। দেশটি একটি ক্রমহ্রাসমান জন্মের হার, একটি বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা এবং সঙ্কুচিত কর্মশক্তি সহ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করছে। ফলে ইতালির অর্থনীতি ক্রমশ যুবা কর্মীর অভাবে ধুঁকছ। বিশ্বাস করা শক্ত হলেও ইটা সত্যি ইতালিতে শত শত শহর ও গ্রামে 2023 সালে কোনও নতুন সন্তান জন্মায়নি ।যা একটি অবাক করার মতো পরিসংখ্যান।

2010: ~6.02 crore

2015: ~6.06 crore

2020: ~5.99 crore

2025: ~5.85 crore

The current population of Italy is 59,207,442 as of Sunday, March 9, 2025,

উপরের চার্টগুলি এবং পরিসংখ্যান দেখলে আপনি ভুঝে যাবেন কি ভাবে ইতালির জনসংখ্যা কমছে। গত দশ বছরে ইতালির জনসংখ্যা প্রায় 21 লক্ষ কমে গেছে ,ইতালির সরকার এই কারণে বিদেশিদের ইতালিতে থাকার জন্য বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। বিভিন্য অর্থনৈতিক সাহায্য, বসত বাড়ির ব্যবস্থা , ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্তা ইত্যাদি।যাতে যারা ইতালিতে এসেছে তারা যেন ফিরে না যায়।

আমাদের দেশ ও এর ব্যাতিক্রম নয়। আপনার পাড়ায় দেখবেন রকে বসে আড্ডা মারা ইয়ং ছেলেরা ক্রমশ কমছে , কেউ অসুস্থ হলে আগে পাড়ার বেকার ছেলেরা ছুটে আসতো, এখন আপনি কাউকে পাবেনই না। সব বাড়িতে একটা করে ছেলে বা মেয়ে তারা তাদের ক্যরিয়ার নিয়ে ব্যাস্ত, আপনার সন্তানের কথাই ধরুননা , দেখবেন তার সময়ের খুব অভাব কারণ সে একা, সে তার চাকরি বাঁচাবে, না তার সংসার দেখবে, না ইনভেসমেন্ট এর দিকে লক্ষ্য রাখবে ,না বাবা মাকে দেখবে , কোন দিকে সে যাবে? এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভবিষতে কি হবে?

উপরের চার্টগুলি দেখলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে ভারত এবং চীন সারা পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এর বেশি যোগান দিচ্ছে , যাকে আমরা প্রবল সমস্যা মনে করছি সেটা কিন্তু সেটা কিন্তু আসলে ভবিস্বতের জন্য ভীষণ প্রয়জনীয় একটি উপাদান, সুতরাং আপনার আশেপাশে যে নবীন প্রজন্ম আছে তাদের বলুন যেন তারা যেন এক সন্তান পলিসি থেকে সরে আসে এবং অন্তত দুটি সন্তান এর জন্ম দেয়, না হলে কিন্তু আমাদের অবস্থাও জাপান,ইতালির মতো হবে , আমাদের দেশেও কাজ করার মতো , আমাদের দেখার মতো ইয়ং জেনারেশন থাকবে না। আমরাও রোবটদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বো , তখন রোবটরাই আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করবে,আস্তে আস্তে আমরা ওদের দাসে পরিণত হব। সম্পূর্ণ পৃথীবি তখন মানুষের অভাবে রোবটদের নিয়ত্রনে চলে যাবে। আপনার একথাটা অবাস্তব মনে হলেও এটাই সত্যি। একথাটা অবাস্তব মনে হলে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখুন, তাদের মধ্যে অনেকেই এব্যাপারে সহমত পোষণ করবেন।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনার প্রয়োজনীয় মনে হয় তা হলে আপনি অবশ্যই এটিকে Facebook,Whats App. বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করুন এটি কিন্তু সত্যি ভাবার মতো এটি কিন্তু সত্যি ভাবার মতো বিষয়।

Leave a Comment