মানুষ কেন suicide করে ?
সোজা কথায় হতাসা(depression) বা না পাওয়া বা যা আমি সবথেকে বেশি চাই , যা আমার কাছে সবথেকে প্রিয় তা যদি আমি না পাই …. দিনের পর দিন… এই না পাওয়াই এক জন মানুষকে এতটাই হতাস করে তোলে যে সে SUICIDE করে ফেলে……এ অবস্থায় একমাত্র ভালো psychiatric বা মানসিক ডাক্তার তাকে ঠিক করে তুলতে পারে deep depression চলে যাওয়া একজন মানুষকে একজন ডাক্তরই ঠিক করতে পারে…সাধারন মানুষ তাকে বোঝাতে গেলে উলটো ফল হতে পারে। সে ভাবতে পারে তার problem কে ছোট করে দেখা হচ্ছে…সে আরও বেশি depression এ চলে যেতে পারে।
আপনার আশেপাশে যদি কেউ হতাসায় ভোগে , তাহলে আজই তাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যান…আপনি হয়ত ভাবছেন কাল নিয়ে যাব…সে কিন্তু কালকের আপেক্ষা নাও করতে পারে…
Suicide করার কিছু কারন এখানে আলোচনা করা হল…
…
(বাংলা টাইপ এ কিছু ভুল হলে মার্জনা করবেন)
একাকীত্তঃ
একা হয়ে যাওয়া …. অর্থাৎ চারিদিকে যারা আছে তাদের সঙ্গে মিশে আমি ঠিক শান্তি পাই নি ….কেউ আমার মনের মানুষ না …. কারো সঙ্গে আমার MIND MATCH করে না … আমাকে কেউ ঠিক বোঝে … আমি ঠিক কি চাই তা ঠিক লোককে বোঝাতে পারি না … আসে পাশে যরা আছে তাদের আচার আচারন …. আমার ভালো লাগে না।তাদের যা attitude তা না আমার পছন্দ নয় … আমি যা ভাবি তা কাউকে শেয়ার করর এরকম কেউ নেই।আমার ভাবনার কথা বললে কেউ ঠিক মত response করে না ।আমী একা…। একা…… আমর কেউ কেউ নেই…।
বিদায় পৃথিবী…।
প্রিয় মানুষ কে না পাওয়া
তোমার প্রিয় মানুষ যাকে তুমি তোমার নিস্বাস প্রশ্বাসের এর মত ভালোবাসো, কিন্তু সে তোমাকে পছন্দ করে না।তুমি তার দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকো কিন্তু তার কাছে তোমার এই চাওয়ার কোন দামই নেই।তুমি হাবে ভাবে তাকে তোমার মনের কথা বোঝতে চাইছ কিন্তু সে যেন তা বুঝেও বুঝতে চাইছে না। যে করে হোক তোমায় avoid করে যাচ্ছ। তুমি ভাবছ কালকেই তুমি তোমার মনের কথা তাকে বলে দেবে কিন্তু পারছোনা এই ভয়ে যে সে যদি না বলে দেয়।সেই অপমান বোধ তোমাকে কথাটা বলতে বাধা দেই অথবা তুমি একদিন তাকে বলেই দিলে তোমার মনের কথা…কিন্তু সে তোমায় অপমান করলো অথবা তুমি জানতে পারলে তার জীবনে অন্য কেউ আছে, এরকম আঘাত আনেক মানুষই নিতে পারে না।এসময় তার পারিবার ,বাবা,মা সবকিছুই তার কাছে মুল্যহিন হয়ে পড়ে।সব স্বপ্ন ঝাপসা হয়ে যায়…হতাসার অন্ধকারে ডুবতে ডুবতে …সে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।সব থেকে মজার কথা যার জন্য সে নিজের জীবন শেষ করে দিল তার কিছুই যায় আসলো না।
Carrier
Carrier Expectation পুরণ না হওয়ায় বহু মানুষ suicide করে ।
আমি যা হতে চাইছিলাম তা হতে পারলাম না , যে কোন কারনে হোক না কেন ….
আমার কিছু ভুল সিধান্ত আমার এই জন্য দায়ী,
কেউ বা কারা কারা চক্রান্ত করে কারে আমার Carrier শেষ করে দিচ্ছে আমি বুঝতে পারছি কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমায় সাহায্য করার মত কেউ নেই…
এ বিষয়ে আমার যোগ্যতা নেই অথছ এই profession আমার সব থেকে প্রিয়
এ কাজ ছাড়া আমি আর কিছু করতে পারবনা , এটাই আমার প্রান, এখন কি করবো? ও ভাগবান এখন আমি কি করবো?
সবাই আমাকে নিয়ে হাসা হাসি করে, এভাবে বেঁচে থাকার কি মানে?
আমি একটা looser, আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে , আমার পাশে কেউ নেই, আমি একা…।মা,বাবা…(অন্য প্রিয় কেউ) আমায় ক্ষমা করো… আমি একটা looser…..আমার জন্য কেঁদনা……।….তাহলে বিদায়…বিদায় পৃথিবী।পারলাম না তাই চলে গেলাম……।

Joy…20.6.20…চলবে……
* Pls. আপনার মাতামত, কমেন্ট এর মাধ্যামে আমাদের জানান।
উপরের লেখা টি ব্যক্তিগত মতামত। …… আলোচনা বা অভিমত, প্রামান্য সত্য নয়।
*The Blog is written by Joy Mitra,Jorabari, Habra,North24 pgs,8768766466
প্রেমে বিচ্ছেদ
আপনার প্রেমিক যে আপনার প্রান । যাকে ছাড়া আপনি থাকতে পারেন না । যাকে নিয়ে আপনি নানারকম স্বপ্ন দেখেছন ,বলা যায় যে এক সপ্নের জাল বুনে চলেছেন ,নিজের ভবিস্বতের কাথা ভেবে পুলকিত হচ্ছেন, সে যেন হটাৎ করে কেমন যেন পর হয়ে যাচ্ছে … আপনি বুঝতে পারেছন সে আপনাকে আর চাইছে না, তার আচর আচরন ক্রমস পালটে যাচ্ছে , আপনি বুঝতে পারছেন সে আপনাকে avoid করছে, কিন্তু এ অবস্থাই আপনি কি করবেন?

তার জীবন থেকে সরে যাবেন? না কি তার কাছে জবাব চাইবেন…যে সেএ রকম কেন করছে?
হয়ত তাকে একদিন আপনি এই কথা তাকে প্রশ্ন করলেন ……সে স্বীকার করলো যে সে আপনাকে আর ভালো বাসে না……এই নিদারুন আঘাত নিতে পারার ক্ষমতা অনেক মানুষেরই থাকে না। সব আশা,আকাঙ্খা,সপ্ন……সব ভেঙ্গে চুরমার যায়……আস্তে আস্তে সেই আঘাত পাওয়া মানুষটা চরম হতাসায় ভুগতে থাকে।অনেকে বিকল্প খুঁজে নেই আবার অনেকে চরম পথ বেছে নেয়।
কঠিন অসুখ
কোন কঠিন অসুখ যার থেকে পরিত্রান পাওয়ার আশা শেষ ” আর কোনদিন আমি এর থেকে মুক্তি পাবো না” এই অসহায়তা, যন্ত্রণা,অন্য মানুশের অনুকম্পা,তার প্রাতি মানুষের বিরক্তি, তার জন্য অন্যের জীবনের সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,…দৈহিক যন্ত্রনা,অসহতা, অবহেলা …ক্রমস তাকে চরম হতাস করে দেয়… কোন একদিন , এসব কারনে অনেকেই শেষ পাথ বেছে নেন।
আর্থিক কারণ
চারিদিকে প্রাচুর্য, সবার হাতে প্রচুর অর্থ, প্রিয়জনের অর্থ নিয়ে ব্যঙ্গ, প্রিয় দ্রব্য না কিনতে পাবার আফসোস, যত দিন যাচ্ছে আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, ও Iphone, বাড়ি, গাড়ি সব করে ফেলল, আমি কিছুই পারলাম না । অথচ আমি অনেক বেশি স্মার্ট ছিলাম পড়াশোনাতেও ওর থেকে ভালো ছিলাম। হায়! তবু কেন ওদের থেকে পিছিয়ে পড়লাম।
আর্থিক অবস্থা খারাপ এর জন্য আমার প্রিয় মানুষ আমায় ছেড়ে চলে গেল। বাড়িতে আমার অকর্মণ্যতাকে নিয়ে সবাই নিয়ে ব্যঙ্গ করে। আমি হতাশ কোন উপায় দেখছি না মৃত্যুই এখন শেষ পথ।
আমার ব্যবসা আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে পড়ছে, আমি অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুই হচ্ছে না, আমার ধার ক্রমস বেড়ে যাচ্ছে……আমি কি করব……হায় ভাগবান আমার কি হবে……কি করে আমি সাংসারের এতো প্রয়োজান মিটাব, কেউ আমার পাশে নেই…কেউ আমার অবস্থাটা বুঝছে না…আমি একা……।।আমি শেষ…তাহলে পালাতে হবে……এ দুর্দিনে কেউ যখন আমার পাশে নেই,তাহলে বিদায়……বিদায় পৃথিবী।
প্রিয় মানুষের অবহেলা
আপনার প্রিয় মানুষ ,সে আপনার Wife,Husband বা বাবা-মা, সন্তান যে কেউ হতে পারে। প্রিয় মানুষের অবহেলা কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ধরা যাক আপনার স্বামী আপনাকে খুব ভালোবাসে। হঠাৎ আপনি খেয়াল করলেন সে আর আপনার ব্যাপারে ততটা ইন্টারেস্টেড নয়। সব ব্যাপারে সে কি রকম যেন বিরক্ত। আপনাকে যেনো সব ব্যাপারে ignore করছে। সে ফিজিক্যালি ও আপনার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড নয়। সবকিছু তেই সে বিরক্ত…অথচ আপনি বিবাহিত, তাকে Divorce দেবেন সে কথা সে চিন্তাও করতে পারেন না, আপনার পাশে কেউ নেই…তাকে ভিত্তি করেই আপনার জীবন চলছে … ,সামাজিক…সব ব্যাপারে সেই আপনার কাণ্ডারি…।সেই আজ পর হয়ে গেছে… এতো বড়ো পৃথিবী তে আপনি একা……তাহলে বিকল্প কি…নিজেকে শেষ করে তাকে চিরদিনের মত মুক্তি দেওয়া…… ??? এই ভাবনাই অনেক মানুষের আত্মহত্যার কারন।
আবার বর্তমানে বেশিরভাগ সন্তান কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকে। সে হয়তো ঠিকমতো বাবা মাকে দেখাশোনা করতে পারে না।এদিকে বাবা-মা তীর্থের কাকের মত বসে থাকে কখন সে আসবে বা অন্তত একটা ফোন করবে। একটু কথা, একটু আশ্বাস, তাদের ব্যাপারে তার আগ্রহ,তাদের সমস্যার ব্যপারে তার মতামত, আথ্রাত তাঁরা তার একটু concern চায়।
যা হয়তো সেই ছেলে মা মেয়েটার পক্ষে করা সম্ভব হয় না। সে হয়তো নিজের কাজ ,সংসার ,তার ছেলে মেয়ের পড়াশোনা ইত্যাদি নিয়ে এত ব্যস্ত যে বাবা-মার কথা সে প্রায় ভুলেই যায়।এছাড়া সংসারে কারো আপাত্তি,বাধা…বাবা/মার পেছনে তুমি কেন পয়সা খরছ করছ?ইত্তাদি তাকে ক্রমস বাবা,মা র থেকে দূরে ঠেলে দেয়।
এরকম অবস্থায় অনেক মানুষ ক্রমস হতাস হতে থাকে,অসহয়তা,তিব্র অভিমান…”সারা জীবন এতো কিছু করলাম..ও আমায়/আমাদের ভুলে গেলো”,তাহলে মৃত্যুই শ্রেয়।এই ভাবনার থেকে অনেক মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ঘুম না হওয়া
ঘুম না হওয়া suicide এর অন্যতম কারন হিসাবে বিবেচিত হয়। বহু মানুষ আছেন যারা আনেক দিন ধরে ঘুম হয় না বলে suicide করে ফেলেন।এটা খুবই common problem এবং খুব সহজেই কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
এছাড়া আরও বহু কারন আছে যা মানুষকে গভির হাতাসায় ডুবিয়ে দেয় এবং সে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
কাছের মানুষের সহচর্জ , একটু সামাবেদনা এবং অবস্যই ডাক্তারের সাহায্য সেই মানুষটাকে নতুন জীবন দিতে পারে।
Important : মনে রাখবেন গভীর হতাসায় ভোগা ব্যক্তির ডাক্তার ছাড়া বিকল্প নেই। কারন Deep Depression এ চলে যাওয়া মানুষের Brain এর গঠন আনেকটাই পালটে যায়। নিচের চিত্র থেকে আপনি এটি বুঝতে পারবেন

*post ti ভালো লাগলে অবস্যই comment করে জানান, আপনার কিছু বলার থাকলে তা comment এ অবশ্যই লিখুন। আর কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হয় তা নিয়ে আমাদের পরামর্শ দিন। আপনাদের পরামর্শ আমাদের একান্ত প্রয়জোন।
*বাংলা বানানে ভুল থাকলে তা আপনি আমাদের জানাতে পারেন।
*উপরের লেখা টি ব্যক্তিগত মতামত। …… আলোচনা বা অভিমত, প্রামান্য সত্য নয়। *
*The Blog is written by Joy Mitra,Jorabari, Habra,India
mail:mj.ss06@gmail.com